বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:১৮ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
মোশাররফের বাসায় ফখরুল, ঘণ্টাব্যাপী আলাপচারিতা মধ্যপ্রাচ্যের যুদ্ধের দিকে নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর এক মাসে সড়কে নিহত ৫৬৫, বেশি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ঝালকাঠিতে ট্রাক-প্রাইভেটকার-অটোরিকশার সংঘর্ষে নিহত ১২ তৃতীয় ধাপে ১১২ উপজেলায় ভোটের তফসিল ঘোষণা বিএনপিসহ সব অপশক্তিকে প্রতিহত করব: কাদের রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় গুমের ঘটনা ঘটছে: রিজভী ৮ হাজার ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার সনদ বাতিল চলতি বছর দেশের প্রবৃদ্ধি হবে ৫.৭ শতাংশ: আইএমএফ বান্দরবানে যৌথ অভিযানে কেএনএফের ৯ সদস্য গ্রেপ্তার ওমানে ভারী বৃষ্টিপাতে ১৮ জনের মৃত্যু দুবাইয়ে ভয়াবহ বন্যা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা: পুতিন-রাইসির ফোনালাপ ইরানের ওপর যুক্তরাষ্ট্র-ইইউ’র নিষেধাজ্ঞার সম্ভাবনা মধ্যপ্রাচ্য সংকটের পেছনে দায়ী নেতানিয়াহুর সরকার: এরদোয়ান

জামায়াতের সমর্থনে ভিপি নুরের বক্তব্য রাষ্ট্রদ্রোহের সামিল

রিপোর্টারের নাম :
আপডেট : নভেম্বর ১, ২০২২
জামায়াতের সমর্থনে ভিপি নুরের বক্তব্য রাষ্ট্রদ্রোহের সামিল

যুদ্ধাপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ছেলে হুম্মাম কাদের চৌধুরী জামায়াতের সমর্থনে বক্তব্য দেন চট্টগ্রামে বিএনপির গণসমাবেশে। যার প্রতিবাদে সম্প্রতি বাসভবন ঘেরাও করে তাকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা ও গ্রেপ্তারের দাবিতে তিনমাসের সময়সীমা বেধে দেয় মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড।

হুম্মামের মতো ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরের একটি বক্তব্যকেও এখন সামনে আনছেন আন্দোলনকারীরা। যা ঢাকার এক অনুষ্ঠানে দেয়া বলে দাবি তাদের। বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে, দুটি বক্তব্যের মধ্যে যোগসূত্র খুঁজছেন, মুক্তিযোদ্ধারা।

অনুষ্ঠানে ভিপি নুর বলেছিলেন, বাংলাদেশ ভারতের পেটে ঢুকে যাবে এটা জামায়াত বুঝছিল ১৯৭১ সালে। আর আমাদের বুঝতে লেগে গেছে ৪৭ বছর।

সাম্প্রতিক রাজনৈতিক উত্তেজনা ও জাতীয় নির্বাচনের আগে এমন বক্তব্য খারাপ কিছুর ইঙ্গিত বলে মনে করছেন মুক্তিযোদ্ধারা। যা রাষ্ট্র ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ওপর চরম আঘাত বলেও মন্তব্য তাদের।

বীর মুক্তিযোদ্ধা ও আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনাল রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষী কাজী নুরুল আবছার বলেন, স্বাধীনতার মতাদর্শ, আদর্শ নিয়ে যারা প্রশ্ন তুলছে, জামায়াতের মত রাষ্ট্রদ্রোহী একটি দলকে যারা সমর্থন দিচ্ছে এই দুঃসাহস তারা কোথা থেকে পাচ্ছে? রাষ্ট্রদ্রোহী হিসেবে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা উচিত।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ চট্টগ্রাম মহানগর কমান্ডার মোজাফফর আহমদ বলেন, সে মুক্তিযুদ্ধ কোটা বাতিলের জন্যে আন্দোলন করেছে, তাকে অবশ্যই শাস্তির আওতায় আনা দরকার।

মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড সাহেদ মুরাদ সাকু বলছেন, এসব বক্তব্যের পেছনে বড় কোন শক্তি বা রাজনৈতিক প্রশ্রয় আছে। তাই রাষ্ট্র কোন ব্যবস্থা না নিলে তাদের প্রতিরোধে আন্দোলনে যাবার কথাও বলছে সংগঠনটি।

এদিকে হুম্মাম কাদের চৌধুরী তার বাবার ফাঁসি কার্যকরের পর আড়ালে চলে গেলেও; সম্প্রতি সক্রিয় হন বিএনপির রাজনীতিতে। আর নুরুল হক নুর এখন গণ অধিকার পরিষদের নেতা। যদিও এসব বিষয়ে হুম্মাম বা নুরের নতুন করে কোন বক্তব্য মন্তব্য মেলেনি।


এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ