প্রধানমন্ত্রিত্ব পাওয়ার আগে সাংবাদিকতায় নিযুক্ত ছিলেন বরিস জনসন। প্রধানমন্ত্রিত্ব শেষে এবার তিনি আবারও আগের পেশায় ফিরতে পারেন। প্রধানমন্ত্রী হওয়ার তিনদিন আগে তিনি ব্রিটেনের ডেইলি টেলিগ্রাফে শেষ কলাম লেখেন।
সেই কলামের শিরোনাম “উই নিড দ্য ‘ক্যান ডু’ স্পিরিট অব ১৯৬০স আমেরিকা টু হেল্প আস গেট আউট অব দ্য ইইউ”। এতে তিনি ব্রেক্সিট বাস্তবায়নের ওপর জোর দিয়েছিলেন। এতে তিনি যে দূরদর্শিতা প্রদর্শন করেন, এমন রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি সস্তায় মেলে না।
দ্য গার্ডিয়ান জানায়, ওই পত্রিকার সাপ্তাহিক মতামত কলামের জন্য মাসে ১০ ঘন্টা কাজ করতেন। এর জন্য পেতেন দুই লাখ ৭৫ হাজার পাউন্ড বেতন।
কিন্তু সম্প্রতি করোনাভাইরাস মহামারিকালে পার্টিগেট কেলেঙ্কারি তার সেই উত্তাপকে অনেকটাই কমিয়ে দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রিত্ব হারিয়ে তাকে হয়তো একটি নতুন আবাস খুঁজে নিতে হবে, যদি তিনি সাংবাদিকতায় ফিরতে চান।
এর বাইরেও তার অন্য বিকল্প আছে। বেশ কিছু সূত্রের বরাতে ডেইলি মেইল বলেছে, ডাউনিং স্ট্রিট ছেড়ে যাওয়ার পর ওই পত্রিকার জন্য তিনি কলাম লেখায় মনোযোগ দিতে পারেন।
তিনি দায়িত্ব ছেড়ে আসার পর তার বেতন দাঁড়াবে ৮৪ হাজার পাউন্ড। তাই তিনি আয় বাড়ানোর নতুন সব উৎস খুঁজছেন।
আগের স্ত্রীর সঙ্গে বিচ্ছেদের কারণে তাকে এমনিতেই বেশ খরচ করতে হয়েছে। তার ওপর বেশ কয়েকজন সন্তানের পড়াশোনাসহ সব খরচ টানতে হচ্ছে তাকে।
তবে এরই মধ্যে ডেইলি টেলিগ্রাফের পক্ষ থেকে বরিস জনসনকে কোনো প্রস্তাব দেয়া হয়েছে কিনা সে বিষয়ে মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে ডাউনিং স্ট্রিট।