বুধবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ১২:৪২ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
টেস্ট পরীক্ষার নামে বাড়তি ফি নেওয়া যাবে না: শিক্ষামন্ত্রী বাংলাদেশ সফরের জন্য ভারতীয় নারী ক্রিকেট দল ঘোষণা চ্যাম্পিয়ন্স লিগে রদ্রিগোই মাদ্রিদের মূল ভরসা এভারটনের বিপক্ষে চেলসির বড় জয় যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সমৃদ্ধির সহায়তায় দৃঢ়ভাবে অঙ্গীকারবদ্ধ: পিটার হাস বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে যুগোপযোগী কারিকুলাম প্রণয়ন করতে হবে ২৩ মে পর্যন্ত ড. ইউনূসের জামিন মঞ্জুর উপজেলা নির্বাচনে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ থাকবে না: কাদের উপজেলা নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত বিএনপির মধ্যপ্রাচ্যের উত্তেজনায় পণ্যের দামে প্রভাব পড়বে না : বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী ইসরায়েলকে সহায়তা করায় জর্ডানে বিক্ষোভ পাকিস্তানে বজ্রপাত ও বন্যায় ৩৯ জনের মৃত্যু ইসরায়েল পাল্টা হামলা চালালে জবাব দেবে ইরান মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা লিটার প্রতি ১০ টাকা বাড়ল সয়াবিন তেলের দাম

বিএনপি রাষ্ট্র ক্ষমতায় গেলে দেশকে জঙ্গিবাদের চারণভূমি বানাবে: হানিফ

রিপোর্টারের নাম :
আপডেট : নভেম্বর ২২, ২০২২
বিএনপি রাষ্ট্র ক্ষমতায় গেলে দেশকে জঙ্গিবাদের চারণভূমি বানাবে: হানিফ

বিএনপি যদি আর কখনো রাষ্ট্র ক্ষমতায় যেতে পারে তাহলে বাংলাদেশকে জঙ্গিবাদের চারণভূমি বানাবে বলে দেশের মানুষকে সতর্ক করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ এমপি। মঙ্গলবার (২২ নভেম্বর) লক্ষ্মীপুর জেলা স্টেডিয়ামে জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, সন্ত্রাস এবং জঙ্গিবাদের জনক তারেক রহমান। সে এখন বিএনপির শীর্ষ নেতা। দুর্নীতি, জঙ্গিবাদের কারণে মানুষ তাদের আস্তাকুড়ে ফেলে দিয়েছে। তারা আবার ক্ষমতায় গেলে বাংলাদেশ হবে তালেবান, জঙ্গিবাদের দেশ।

মাহবুবউল আলম হানিফ বলেন, বিএনপি বাংলাদেশকে জঙ্গিরাষ্ট্র বানিয়েছিল। বাংলাদেশ পৃথিবীতে ব্যর্থ রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। শায়খ আব্দুর রহমান, বাংলা ভাই, জেএমবিসহ জঙ্গিদের প্রতিষ্ঠিত করে বাংলাদেশকে জঙ্গিবাদের চারণভূমি বানিয়েছিল। সেই দেশে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে চান। বাংলাদেশের মানুষ ব্যর্থ রাষ্ট্রে ফিরে যেতে চায় না, জঙ্গিবাদ দেখতে চায় না।

ঢাকার আদালত পাড়া থেকে দুই জঙ্গি ছিনিয়ে নেয়ার ঘটনায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর খুব খুশি হয়েছেন- এমন মন্তব্য করে আওয়ামী লীগ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, গত পরশু দিন ঢাকা আদালত এলাকা থেকে দুই জঙ্গিকে ছিনিয়ে নেয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনা নিয়ে বিএনপি মহাসচিব খুঁচিয়ে বক্তব্য দিচ্ছেন। তিনি এ ঘটনায় খুব খুশি হয়েছেন। কারণ বিএনপির দ্বারাই জঙ্গিবাদের সৃষ্টি।

তিনি বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় থাকতে তারেক রহমান হাওয়া ভবনে বসে ১২৫টি ছোট-বড় জঙ্গি সংগঠন প্রতিষ্ঠা করেছিল। এটি আমার বক্তব্য নয়; ২০০৬ সালে বিবিসি অনলাইন এ রিপোর্ট করেছিল। প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল দেশে ১২৫টি জঙ্গি সংগঠনের অস্তিত্ব আছে। জঙ্গি নেতাদের অনেকে তাদের কাছে স্বীকার করেছিলেন হাওয়া ভবনের কর্ণধার তারেক রহমানের সাথে তাদের যোগযোগ আছে। তার সহায়তায় তারা কার্যক্রম পরিচালনা করছেন।

বিএনপির আদর্শিক নেতা এখন তারকে রহমান। যে তারেক রহমান হত্যা, দুর্নীতির দায়ে দণ্ডপ্রাপ্ত হয়ে পলাতক। বাংলাদেশে হত্যা খুন, জঙ্গিবাদসহ একাধিক মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত। দুর্নীতির কারণে সিঙ্গাপুর, মার্কিন ফেডারেল আদালতে মামলা হয়েছিল। ২০০৪ সালে হাওয়া ভবনে বসে শেখ হাসিনাকে হত্যার জন্য গ্রেনেড হামলা চালিয়েছিল।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের রাজনীতিতে দু’টি ধারা চলছে। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি। একাত্তরের পরাজিত শক্তি ও পঁচাত্তরের ঘাতক বিএনপি-জামায়াতের নেতৃত্বে স্বাধীনতার বিপক্ষের শক্তি। শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে অন্ধকার থেকে আলোয় উদ্ভাসিত করেছেন। বিশ্বের দরবারে চরম ব্যর্থ রাষ্ট্র থেকে উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। ঠিক সেই সময়ে বিএনপি-জামায়াত দেশকে পিছিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য আবার অপতৎপরতা শুরু করেছে।

বিএনপি নেতারা এখন স্লোগান দেন ‘টেক ব্যাক বাংলাদেশ’। আমি জিজ্ঞেস করেছিলাম রাষ্ট্র ক্ষমতায় থাকতে আপনাদের কি অর্জন ছিল। ২০০১ থেকে ২০০৬ সালে ক্ষমতায় থাকতে আপনাদের অর্জন কি ছিল বলুন? সেই সময়ে বাংলাদেশ পরপর পাঁচবার দুর্নীতিতে বিশ্বে এক নম্বর বানিয়েছিলেন। হাওয়া ভবন বানিয়ে সরকারের মধ্যে সরকার প্রতিষ্ঠা করে বাংলাদেশকে দুর্নীতিবাজ রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন। দেশের অর্থনীতি মুখ থুবড়ে পড়েছিল। ৬০ ভাগ মানুষ দরিদ্র ছিল। মাথাপিছু আয় ছিল ৬০০ ডলারের নিচে।

বিএনপির জনসভায় কিছু কর্মী উপস্থিত হয়েছে। এই দেখে বিএনপি নেতাদের মনে হচ্ছে তারাই বোধ হয় রাষ্ট্র ক্ষমতায় এসে যাচ্ছে। পরিস্কার ভাবে বলে দিতে চাই, আমরা নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় এসেছি। আওয়ামী লীগ নিবাচিত সরকার। আওয়ামী লীগের শেকড় এই বাংলার মাটির অনেক গভীরে। এই সরকাকে আন্দোলন করে পতন ঘটনো যাবে না।

তিনি বলেন, যারা নির্বাচন নিয়ে কথা বলছেন তাদের প্রতি আহবান জনপ্রিয়তা আছে কি-না যাচাই করতে নির্বাচনে অংশ নিন। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন সংবিধান অনুযায়ী হবে। সংবিধানের মধ্যে থেকে নির্বাচনে আসতে হবে। সংবিধান বহির্ভূত দাবি করে নির্বাচনের বাইরে থাকলে দায়ভার আপনাদের, দেশের মানুষ এর দায় নিবে না। নির্বাচনে আসুন, প্রমাণ হয়ে যাবে জনগণ কার সঙ্গে যাবে।

হানিফ বলেন, উন্নয়ন ধারা অব্যাহত রাখতে হলে বাংলাদেশে শেখ হাসিনা কোনো বিকল্প নেই। বিভিন্ন জরিপে দেখা গেছে, শেখ হাসিনার প্রতি দেশের ৭২ থেকে ৮০ ভাগ মানুষের আস্থা আছে। আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা ঐক্যবদ্ধ থাকলে বিএনপি বা এমন কোনো অপশক্তি নেই আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটাবে। জনগণ শান্তির পক্ষে। দেশের মানুষের কাছে দেশের উন্নয়ন, অগ্রগতি তুলে ধরতে হবে। আগামী নির্বাচনে জনগণকে ভোটে নিরঙ্কুশ বিজয় অর্জন করে আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবো।


এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ