নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের চনপাড়ায় রাত আড়াইটায় খুন হন বুয়েট ছাত্র ফারদিন নূর পরশ। তার ফুট প্রিন্ট ও গোয়েন্দা তথ্যে চ্যানেল 24-কে এ কথা জানিয়েছে র্যাব। তবে হত্যায় বান্ধবী বুশরার সম্পৃক্ততা পায়নি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। রিমান্ড শেষে তার ঠাঁই হয়েছে কারাগারে।
বুয়েট ছাত্র ফারদিন হত্যার কারণ উৎঘাটনে তৎপর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন সংস্থা। ডিজিটাল-অ্যানালগ তথ্যে ফারদিনের অবস্থান সম্পর্কে ধারণা নেয়া হয়। খোঁজ মেলে ধানমন্ডি, বনশ্রী, যাত্রাবাড়ী হয়ে সর্বশেষ অবস্থান নারায়ণগঞ্জের চনপাড়ায়।
ফারদিনের ফুট প্রিন্ট, গোয়েন্দা তথ্যের সূত্র ধরে র্যাব জানায়, রাত আনুমানিক আড়াইটার দিকে চনপাড়াতেই খুন হয়েছে ফারদিন।
ফারদিনের বাবার মামলায় আসামি বান্ধবী বুশরাকে গ্রেপ্তারের পর রিমান্ডে নেয় পুলিশ। র্যাব-পুলিশ বলছে, এই মামলায় কোথাও বুশরার সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়নি। ফারদিন হত্যা মামলায় বুশরা বর্তমানে কারাগারে রয়েছে।
এদিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এক মানববন্ধনে ফারদিনের বাবা কাজী নুরউদ্দিন রানা বলেন, ফারদিনের মিসিং পয়েন্ট ছিল রামপুরা। তাকে সর্বশেষ সেখানে পাওয়া যায়। সেখান থেকে বুয়েট ক্যাম্পাস লাইনে তাকে খোঁজার কথা। সেই মিসিং পয়েন্ট থেকে তাকে খোঁজা হয়নি। কীভাবে সেখান থেকে সে চনপাড়া গেল, সে নিজে গিয়েছে নাকি অন্য কেউ নিয়েছে তা দেখতে হবে। আমার মনে হয় কোথাও একটি ফাঁকি হয়েছে।
নিহত ফারদিনের ছবি দেখিয়ে তিনি বলেন, এরকম অপ্রত্যাশিত মৃত্যু কখনও কাম্য নয়। এই দেশে মেধাবী নিধন শুরু হয়েছে। বুয়েট কিলিং মিশন শুরু হয়েছে। আমার সন্তান ধূমপানও করে না। ঘটনাকে ভিন্ন খাতে নিয়ে বিচারকে বিলম্বিত করার জন্য তাকে মাদকে সম্পৃক্ত করা হচ্ছে। আমার সন্তান কখনও ফিরে আসবে না। মৃত ব্যক্তির প্রতি অন্যায় করা হয়েছে, ফারদিনের কাছে ক্ষমা পাওয়ার সুযোগ নেই। আর যেন কাউকে এমনভাবে তুলে না ধরে।
আদালতে মামলা উঠেছে বলে উল্লেখ করে মামলার অগ্রগতি ভালো বলেও জানান ফারদিনের বাবা।