বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০১:২১ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
‘যারা শহীদ হয়েছে তাদের রক্তে সাথে বেইমানি করা যাবে না’ নরেন্দ্র মোদী পুণ্যস্নান করলেন ত্রিবেণী সঙ্গমে ‘দেশের মানুষ আওয়ামী লীগকে প্রত্যাখ্যান করেছে’ চার প্রদেশ ও নতুন দুই বিভাগের প্রস্তাব সংস্কার কমিশনের অনির্বাচিত সরকার কখনো নিরাপদ না: জামায়াতের নায়েবে আমির আখেরি মোনাজাতে শেষ হলো বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব জনপ্রশাসন ও বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন দাখিল সরে দাঁড়িয়েছেন মেয়েদের জাতীয় দলের প্রধান কোচ থানায় হামলাকারীদের বিচারের আওতায় আনা হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা হত্যা মামলায় শাহজাহান ওমরসহ তিনজন গ্রেপ্তার যুক্তরাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রণে থাকবে গাজা উপত্যকা: ট্রাম্প সুইডেনে স্কুলে গুলি, নিহত ১০ তাপমাত্রার সাথে বাড়বে কুয়াশার দাপট উত্তরবঙ্গের সব পেট্রল পাম্প অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা সবাই খালাস

ডিসেম্বরে জাতীয় সম্মেলনের প্রস্তুতি নিচ্ছে আওয়ামী লীগ

রিপোর্টারের নাম :
আপডেট : মে ৪, ২০২২

গঠনতন্ত্র অনুযায়ী আগামী ডিসেম্বরে জাতীয় সম্মেলনের প্রস্তুতি নিচ্ছে ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ।

প্রতি তিন বছর পর পর আওয়ামী লীগের সম্মেলন হয় দলীয় গঠনতন্ত্র অনুযায়ী। সে হিসেবে আসছে ডিসেম্বরে হতে যাচ্ছে দলটির ২২তম জাতীয় সম্মেলন। এর প্রস্তুতি হিসেবে করোনা প্রকোপ কমার পরপরই জেলাসহ তৃণমূল পর্যায়ে মেয়াদোত্তীর্ণ সাংগঠনিক ইউনিটগুলোর সম্মেলনসহ দল গোছানো শুরু হয়েছে।

সর্বশেষ চারটি সম্মেলনের কাউন্সিল অধিবেশনে সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার পর সাধারণ সম্পাদক পদে একজনের নাম প্রস্তাবিত হয়। প্রতিনিধিদের সমর্থনে নির্বাচিত হন সাধারণ সম্পাদক। এই ধারাবাহিকতা বজায় থাকবে আগামী কাউন্সিলেও এমনটাই ধারণা আওয়ামী লীগ নেতাদের।

দলের সভাপতির পদটি এক ধরনের নির্ধারিত হওয়ায় সবচেয়ে বেশি আলোচিত হয় সাধারণ সম্পাদক পদটি নিয়ে। এরইমধ্যে দলের সিনিয়র বেশ কয়েকজন নেতা সাধারণ সম্পাদক পদের দাবিদার হয়ে দৌঁড়ঝাঁপ শুরু করেছেন। শেষ পর্যন্ত কে হবেন নতুন সাধারণ সম্পাদক তা সম্মেলনের আগে নিশ্চিত করে বলার সুযোগ নেই।

সাধারণ সম্পাদক পদে আলোচনায় আছেন এমন কয়েকজন নেতার সাথে কথা হয়। যদিও তারা নিজেদের এই পদের প্রার্থী বলে দাবি করছেন না।

আওয়ামী লীগের সভাপতি মন্ডলীর সদস্য এবং কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক বলেন, ‘সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পাওয়া না পাওয়া বড় কথা না। আমি দলের একজন কর্মী হিসেবে তৎপর।’ তবে, কোনও দায়িত্ব পেলে তা মেধা ও যোগ্যতার মাধ্যমে নিষ্ঠার মাধ্যমে পালন করবেন বলেও জানান ড. আবদুর রাজ্জাক।

আওয়ামী লীগের সভাপতি মন্ডলীর আরেক সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক জানান, দলের সভাপতি পদে কোনও পরিবর্তন আসবে না। আর সাধারণ সম্পাদক কে হবেন বা কোন নেতা যোগ্য বা অযোগ্য তা শেখ হাসিনা সবচেয়ে ভালো জানেন। কী করলে দল ভালো চলবে, সংগঠন উপকৃত হবে তা তিনিই ভালো জানেন এবং দলের সভাপতি হিসেবে তিনিই সিদ্ধান্ত নেবেন।

কে দলের নতুন সাধারণ সম্পাদক হবেন এমন প্রশ্নে দলের আওয়ামী লীগের সভাপতি মন্ডলীর সদস্য আব্দুর রহমান বলেন, ‘যারা ত্যাগী, পরীক্ষিত এবং বিগত দিনে যাদের দলে অবদান আছে তাদের মধ্যে থেকেই কাউকে নেতা হিসেবে বেছে নেয়া হবে।’

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ জানান, দলের প্রতিটি স্তরের নেতৃবৃন্দে সব খবর শেখ হাসিনা জানেন। কাজেই কাকে দলের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করলে সংগঠন উপকৃত হবে তা শেখ হাসিনার চেয়ে আর কেউ ভালো জানেন না। তাই এ বিষয়ে দলের অন্য কারও ভাবনার প্রয়োজন আছে বলেও মনে করেন না মাহবুবউল আলম হানিফ।

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করা ড. হাছান মাহমুদ বলেন, কোনও কাজে সফল হতে হলে সেই কাজকে ভালবাসতে হবে, যেকোনো সময় যেকোনো পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। স্যালুট এবং কারাগার দু’টিই রাজনৈতিক সহযাত্রী তাই সবকিছুর জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। বিপ্লবী হতেই রাজনীতি শুরু করেছিলেন বলেও জানান ড. হাছান মাহমুদ।

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করা আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম জানান, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগে কাউন্সিলের মাধ্যমেই নেতা নির্বাচিত হয়েছে। এমন কাউকে নেতা নির্বাচন করা হবে যাতে আসছে জাতীয় নির্বাচনে জনসমর্থন আদায় আরও সহজ হয়।

তারা বলেন, সৎ ও নিষ্ঠাবান কেউ নেতৃত্বে আসলে দেশ এবং দলের জন্য মঙ্গলজনক। এ ক্ষেত্রে কাউন্সিল এবং বঙ্গবন্ধু কন্যার সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত।


এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ