ডেসটিনির প্রেসিডেন্ট কম সাজাপ্রাপ্ত সাবেক সেনাপ্রধান হারুনসহ ৪৫ আসামির হাইকোর্টে সাজা বাড়ানোর আবেদন করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। শনিবার (১১ জুন) এ আবেদন করা হয়।
দুদক আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলেন, ডেসটিনি একটি সংঘবদ্ধ অপরাধ। সেখানে শুধু ডেসটিনি গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রফিকুল আমীনকে ১২ বছর সাজা দেয়া হলেও কোম্পানির প্রেসিডেন্ট সাবেক সেনাপ্রধান হারুন-অর-রশিদসহ ৪৫ আসামির ৪ বছর থেকে ১০ বছরের বিভিন্ন মেয়াদের সাজা দেয়া হয়েছে। এটা আমাদের কাছে অনেক কম সাজা মনে হয়েছে তাই দুর্নীতি দমন কমিশন সবার সাজা বাড়ানোর জন্যে আবেদন করেছেন।
গত ১২ মে ঢাকার চতুর্থ বিশেষ জজ আদালতের বিচারক শেখ নাজমুল আলম এই রায়ে ৪৬ আসামির সবাইকে দোষী সাব্যস্ত করে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়ার পাশাপাশি ২ হাজার ৩০০ কোটি টাকা জরিমানা করেছেন।
ডেসটিনি মাল্টিপারপাস কো অপারেটিভ সোসাইটির প্রায় ১ হাজার ৮৬১ কোটি টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগে ২০১২ সালের ৩১ জুলাই কলাবাগান থানায় এ মামলা করে দুদক। ২০১৬ সালের ২৪ অগাস্টে অভিযোগ গঠন করে আদালত আসামিদের বিচার শুরুর আদেশ দেয়।
গত কয়েক দশকে বড় যে কটি আর্থিক কেলেঙ্কারির ঘটনা দেশকে নাড়িয়ে দিয়ে গেছে, ডেসটিনির অর্থ আত্মসাৎ তার একটি।
আইন অনুযায়ী অর্থ আত্মসাৎ ও পাচারের সর্বোচ্চ শাস্তি ১২ বছরের কারাদণ্ড। ডেসটিনির এমডি রফিকুল আমীনকে সেই দণ্ডই দিয়েছে আদালত। পাশাপাশি তাকে ২০০ কোটি টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৩ বছরের সাজা দেওয়া হয়েছে রায়ে।
আর ডেসটিনি গ্রুপের প্রেসিডেন্ট হারুন-অর-রশীদকে চার বছরের কারাদণ্ড এবং সাড়ে ৩ কোটি টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। চার বছরের দণ্ড এ আইনে সর্বনিম্ন সাজা।