ভয়াবহ আর্থিক মন্দার মুখোমুখি হতে যাচ্ছে বিশ্ব। বৈশ্বিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে এমন সতর্কবার্তা উঠে এসেছে জাতিসংঘের বাণিজ্য ও উন্নয়ন বিষয়ক সংস্থা, আঙ্কটাডের প্রতিবেদনে। এতে বলা হয়েছে, করোনা এবং যুদ্ধের কারণে বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধির হার কমে গেছে, আগামী বছর আরও কমবে। সব মিলে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ বিশ্বের অনেক দেশে। বিনিয়োগ কমার পাশাপাশি বাড়বে বেকারত্ব ও খাদ্য সংকট।
করোনা অতিমারী এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে অর্থনৈতিক মন্দার মধ্য দিয়ে এগুচ্ছে বিশ্ব। তবে এখনো সহনীয় মাত্রায় থাকলেও আগামী বছর ভয়াবহ আকার ধারণ করবে এই মন্দা। ফলশ্রুতিতে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড ও বিনিয়োগের হার কমে যাবে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের বাণিজ্য ও উন্নয়ন বিষয়ক সংস্থা আঙ্কটাড।
স্থানীয় সময় শুক্রবার এক প্রতিবেদনে সংস্থাটি জানায়, চলতি বছর বৈশ্বিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ২ দশমিক ৬ শতাংশ নির্ধারণ করা হলেও বিদ্যমান পরিস্থিতিতে তা কমে গেছে। আর আগামী বছর তা ২ দশমিক ২ শতাংশে নেমে যাবে। এতে বিশ্ব জুড়ে বেকারত্বের পাশাপাশি বাড়বে খাদ্য নিরাপত্তাহীন মানুষের সংখ্যা। এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রবৃদ্ধি হার ২০২৩ সালে শূন্য দশমিক ৯ শতাংশে নেমে যাবে। প্রবৃদ্ধি কমবে যুক্তরাজ্যসহ ইউরোপের দেশগুলোতেও।
অন্যদিকে, বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধির হার চলতি বছর ধরা হয়েছে সাড়ে ৭ শতাংশ। যা আগামী বছর ৭ দশমিক ২ শতাংশে দাঁড়াবে। তবে আইএমএফ ও বিশ্ব ব্যাংকের মতে প্রবৃদ্ধি আরও কম হবে। ফলে মন্দার প্রভাব পড়বে বাংলাদেশেও। এরইমধ্যে দক্ষিণ এশিয়ার আটটি দেশের প্রবৃদ্ধি এ বছর ৬ দশমিক ৮ শতাংশ থেকে ২ দশমিক ৬ শতাংশে নেমে গেছে। ফলে চরম অর্থনৈতিক সংকটের মুখে পড়েছে শ্রীলংকা, পাকিস্তান, আফগানিস্তান ও নেপাল। আঙ্কটাডের হিসেবে শিগগিরই অর্থনৈতিকভাবে বিপর্যস্ত হবে লাতিন আমেরিকা ও আফ্রিকার দেশগুলোও।