শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ১০:৫৭ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
ন্যায়বিচার পাওয়া সাংবিধানিক অধিকার : প্রধান বিচারপতি রাশিয়া ও ইরান একক ব্রিকস মুদ্রা তৈরির কাজ করছে: ইরান নারী স্পিকারদের সম্মেলন বৈশ্বিক গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুর অনবদ্য প্লাটফর্ম: স্পিকার নরসিংদীতে বজ্রপাতে প্রাণ গেল মা-ছেলেসহ ৪ জনের শেয়ারবাজার ছাড়লেন আরও ২১৮৮ বিনিয়োগকারী জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে কেউ যেন বৈষম্যের শিকার না হন : রাষ্ট্রপতি ফের শাহরুখ খানের দলে সাকিব বিএনপি ভোট বর্জন করে গণতন্ত্রের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে: দুদু সরকারের ধারাবাহিকতার কারণে এতো উন্নয়ন সম্ভব হয়েছে : কাদের সাতক্ষীরায় ট্রাক উল্টে নিহত দুই টেক্সাসের হাস্টনে শক্তিশালী হারিকেনের আঘাত অর্থপাচার করলে কোন ছাড় নেই: ওবায়দুল কাদের প্রাথমিকে ২৯ শিক্ষার্থীর বিপরীতে একজন শিক্ষক গাজায় দীর্ঘমেয়াদে লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত হামাস বাংলাদেশ থেকে কর্মী নেয়া বন্ধ করছে মালয়েশিয়া

গাজার যুদ্ধ বন্ধে যুক্তরাষ্ট্রের কথাও শুনছে না ইসরায়েল

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আপডেট : মে ৫, ২০২৪
গাজার যুদ্ধ বন্ধে যুক্তরাষ্ট্রের কথাও শুনছে না ইসরায়েল

ফিলিস্তিনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি চুক্তি করতে ইসরায়েলকে চাপ দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে এই চাপকে উপেক্ষা করেছে দখলদার ইসরায়েল।

গতকাল শনিবার (৪ মে) মিসরের রাজধানী কায়রোতে হামাসের একটি প্রতিনিধি দল যায়। সেখানে তারা যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা করে। তবে হামাসের এক কর্মকর্তা বার্তাসংস্থা এএফপিকে জানান, কোনো ফলাফল ছাড়াই আলোচনা শেষ হয়েছে। কিন্তু এটি পুরোপুরি ভেস্তে যায়নি। তাই আজ রোববার আবারও আলোচনায় বসবেন তারা।

আরব বিশ্ব ও ইসরায়েলের বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র হামাসকে নিশ্চয়তা দিয়েছে— যদি তারা ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপে রাজি হয় তাহলে গাজায় যুদ্ধের অবসান ঘটানো হবে।

এমন খবর প্রকাশ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ইসরায়েলের পক্ষ থেকে জানানো হয় তারা স্থায়ীভাবে যুদ্ধ বন্ধ করতে রাজি হয়নি।

ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম কান এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, হামাসের সঙ্গে আলোচনার জন্য গতকাল মিসরের কায়রোতে ইসরায়েলকে প্রতিনিধি দল পাঠাতে চাপ দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু তাদের কথা শোনেননি। তিনি কায়রোতে প্রতিনিধি দল পাঠাতে অস্বীকৃতি জানান।

গতকাল হামাসের এক কর্মকর্তা জানান, তারা ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপ কার্যকরে রাজি হয়েছিলেন। মূলত যুক্তরাষ্ট্র যুদ্ধ বন্ধের নিশ্চয়তা দেওয়ার পর তারা এ ব্যাপারে ইতিবাচক সাড়া দিয়েছিলেন।

কিন্তু এরপর যখন ইসরায়েলের পক্ষ থেকে জানানো হয় যে তারা যুদ্ধ পুরোপুরি বন্ধ করতে রাজি হয়নি তখন হামাস জানায়, যুদ্ধ বন্ধ করা ছাড়া অন্য কোনো চুক্তিতে তারা রাজি হবেন না।

দখলদার ইসরায়েলের উগ্রপন্থি জাতীয় নিরাপত্তামন্ত্রী ইতামার বেন গিভির এবং অর্থমন্ত্রী বাজায়েল স্মোরিচ হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতির চুক্তি না করতে হুমকি দিয়েছেন। তারা সতর্কতা দিয়ে বলেছেন, রাফাহতে হামলা ছাড়া যদি যুদ্ধবিরতি করা হয় তাহলে সরকার ভেঙে দেওয়া হবে।


এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ