দেশের বিভিন্ন এলাকায় বান্দরবানের কলার চাহিদা থাকলেও কাঙ্খিত মূল্য পাচ্ছেন না স্থানীয় চাষিরা। তাদের অভিযোগ, বিপুল পরিমাণ কলা উৎপাদন করলেও ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেটের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। লাভবান হচ্ছে মধ্যস্বত্ত্বভোগীরা। এ কারণে কলা চাষে আগ্রহ হারাচ্ছেন সেখানকার চাষিরা।
বান্দরবানে এবার ৯ হাজার ৮৮৫ হেক্টর জমিতে কলার আবাদ হয়েছে। এখানকার উৎপাদিত কলা সুস্বাদু হওয়ায় ও রাসায়নিক ব্যবহার না করায় দেশের বিভিন্ন জেলায় চাহিদা রয়েছে। সপ্তাহে দুই দিন বান্দরবান বাজারে কলার হাট বসে। হাটের দিন পাইকাররা এখান থেকে কলা কিনে ট্রাকে করে নিয়ে যান। প্রতিটি ট্রাকে ৭০ থেকে ৮০ হাজার টাকার কলা বোঝাই করা হয়। মাসে এ বাজার থেকে কলা বিক্রির আনুমানিক পরিমাণ প্রায় ১৫ লাখ টাকা।
কিন্তু চাষীরা বলছেন, কাঙ্খিত মূল্য পাচ্ছেন না তারা। তাদের অভিযোগ, বাজারে কলা নিয়ে যাওয়ার পর পাইকাররা সিন্ডিকেট করে দাম নিয়ন্ত্রণ করে। বাধ্য হয়ে কম দামে তাদের কাছে কলা বিক্রি করতে হয়। একারণে আগ্রহ হারাচ্ছেন কলা চাষে।
এদিকে, কৃষকরা যেন কলার উৎপাদন বাড়াতে পারেন সেজন্য প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেয়া হচ্ছে বলে জানালেন কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা।
বান্দরবানের রুমা, রোয়াংছড়ি, থানচি, লামা, আলীকদম ও নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় কলার উৎপাদন বেশি হয়।