রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১১:৫২ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম আরও কমল আগামী ৯ মে শুরু হচ্ছে চলতি মৌসুমের হজ ফ্লাইট বাংলাদেশসহ ছয় দেশে ভারতের পেঁয়াজ রফতানির অনুমতি হিট অফিসার ডিএনসিসির কেউ নন, কেন বললেন মেয়র বাবা আগামীকাল খুলছে স্কুল-কলেজ, বন্ধ থাকবে প্রাক-প্রাথমিক যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে সাড়া দিয়েছে ইসরায়েল: হামাস ‘বিদেশি প্রভুদের দাসত্ব করছে বিএনপি’ মানুষের জীবনকে সংকটে ফেলে দিয়েছে সরকার : রিজভী রাস্তায় লোক নামলেও বিএনপির আন্দোলন ব্যর্থ হবে বাগেরহাটে ট্রাকচাপায় নিহত ৩ যুদ্ধের প্রভাবে দেশে দেশে বাড়ছে অর্থনৈতিক সংকট জ্বালানিবাহী জাহাজে হুতি বিদ্রোহীদের ক্ষেপনাস্ত্র হামলা ভারতে ভোট দিতে গিয়ে হিটস্ট্রোকে ৫ জনের মৃত্যু হামাস–ফাতাহ ঐক্য আলোচনা, মধ্যস্থতায় চীন গাজার ধ্বংসস্তূপ সরাতে ১৪ বছর লাগতে পারে: জাতিসংঘ

সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি তৃণমূলে ছড়িয়ে দেওয়ার আহ্বান রাষ্ট্রপতির

নিজস্ব প্রতিবেদক
আপডেট : মার্চ ২৮, ২০২৪
সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি তৃণমূলে ছড়িয়ে দেওয়ার আহ্বান রাষ্ট্রপতির

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি তৃণমূল পর্যায়ে ছড়িয়ে দিতে দলমত নির্বিশেষে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সকল শক্তিকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) বঙ্গভবনে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবিরের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল সাক্ষাৎকালে এ আহ্বান জানান রাষ্ট্রপ্রধান।

মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি মুক্তিযুদ্ধ এবং স্বাধীনতার ইতিহাসকে বিকৃত করে দেশকে অন্য পথে পরিচালিত করতে চেয়েছিল; কিন্তু দেশের জনগণ তা হতে দেয়নি।

রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব জয়নাল আবেদীন জানান, এ বিষয়ে ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার কথাও তিনি উল্লেখ করেন।

রাষ্ট্রপতি বলেন, স্বাধীনতার মূল লক্ষ্য ছিল একটি ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা। কিন্তু স্বাধীনতা বিরোধী একটি চক্র ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মাধ্যমে সেই লক্ষ্য অর্জনে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। তিনি স্বাধীনতার পক্ষের সকল শক্তির ইস্পাত কঠিন ঐক্যের প্রতিও গুরুত্বারোপ করেন।

সাক্ষাৎকালে ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির প্রতিনিধিদল আগামী ৩ মে অনুষ্ঠেয় জাতীয় সম্মেলনে যোগদানের জন্য রাষ্ট্রপতিকে আমন্ত্রণ জানান।

প্রতিনিধিদল ১৯৭১-এর গণহত্যাকারীদের বিচার দ্রুত সম্পন্ন করার জন্য প্রয়োজনে সর্বোচ্চ আদালতে অধিক সংখ্যক বিচারক নিয়োগ এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে সাহাবুদ্দিন কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়নের জন্য স্মারকপত্র প্রদান করেন।

উল্লেখ্য, ২০০১ সালে সাধারণ নির্বাচন পরবর্তী সময়ে বিএনপি-জামায়াত জোটের নেতাকর্মীদের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর হামলা, হত্যা, ধর্ষণ ও লুণ্ঠনের ঘটনা তদন্তে পরবর্তী সময়ে গঠিত বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশনের চেয়ারম্যান ছিলেন বর্তমান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। এ কমিশন সাহাবুদ্দিন কমিশন নামে পরিচিত।

সাক্ষাৎকালে রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব মো. ওয়াহিদুল ইসলাম খান, প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন এবং সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এস. এম সালাহউদ্দিন ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।


এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ