সৈয়দপুর-কক্সবাজার পথে আজ বৃহস্পতিবার সরাসরি বিমানের ফ্লাইট চলাচল উদ্বোধন করেছেন রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম। এ সময় তিনি বলেন, আগামী বছর শীতে এই পথে সরাসরি ট্রেনও চলবে। দুপুরে সৈয়দপুর বিমানবন্দর টার্মিনালে সৈয়দপুর-কক্সবাজার রুটে সরাসরি বিমানের ফ্লাইট উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণ দেন।
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। অতিথি হিসেবে ছিলেন নীলফামারী-২ আসনের সাংসদ আসাদুজ্জামান নূর, সংরক্ষিত আসনের সাংসদ রাবেয়া আলীম, নীলফামারী-৪ আসনের সাংসদ আহসান আদেলুর রহমান, বিমান পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান সাজ্জাদুল হাসান, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোকাম্মেল হোসেন, রংপুর বিভাগীয় কমিশনার আবদুল ওয়াহাব ভূঞা, নীলফামারী জেলা প্রশাসক হাফিজুর রহমান চৌধুরী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোক্তারুজ্জামান প্রমুখ।
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
রেলমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী সৈয়দপুর বিমানবন্দরকে আকাশপথে আঞ্চলিক হাব হিসেবে গড়ে তুলতে আগ্রহী। সে অনুযায়ী কাজ শুরু হয়েছে। সৈয়দপুর থেকে নেপাল, ভুটান ও ভারতের আকাশপথ অবারিত হবে। সৈয়দপুর হচ্ছে উত্তরাঞ্চলের বাণিজ্যিক প্রাণকেন্দ্র। একে ঘিরে পর্যটন ও বাণিজ্য সম্ভাবনা খতিয়ে দেখছে সরকার। সৈয়দপুরকে রেলওয়ে শহর উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, এই শহরের অনেক জমি রেলের, যার অধিকাংশ অবৈধ দখলে চলে গেছে। রেলপথ মন্ত্রণালয় যথাযথ ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে এসব জমির ব্যবহার করতে চায়, যাতে করে সরকার রাজস্ব পায়।
রেলমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতার পর সড়কপথ ব্যাপক সম্প্রসারিত হয়েছে। অথচ সম্ভাবনার খাত রেল সংকুচিত হয়েছে। এর বিস্তারে অনেকগুলো মেগা প্রকল্প হাতে নিয়েছে। আগামী বছরের শীতে দোহাজারি-চট্টগ্রাম রেলপথের কাজ শেষ হবে। কেবল বিমানেই নয়, সৈয়দপুরের মানুষ ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে ট্রেনে চেপে কক্সবাজার যাবেন।
বিজ্ঞাপন
সাংসদ আসাদুজ্জামান নূর বলেন, ‘শুধু নেপাল-ভুটান নয়, সৈয়দপুর-কলকাতা রুটে বিমান চাই। এ ছাড়া সৈয়দপুর-কক্সবাজার বিমানটি চট্টগ্রাম ভায়া হয়ে চালানোর অনুরোধ জানাচ্ছি।’
অনুষ্ঠানে বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রীর অনুরোধে বক্তব্য দেন রেলমন্ত্রীর স্ত্রী শাম্মী আখতার। তিনি প্রতিমন্ত্রীর উদ্দেশে বলেন, ‘ভাইয়া, ঈশ্বরদী আমার নানার বাড়ি। বিমানবন্দরটি চালু করলে খুশি হব।’
পরে মন্ত্রী ফিতা কেটে সৈয়দপুর-কক্সবাজার রুটে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ফ্লাইট উদ্বোধন করেন। বিমানটি ৭৪ জন যাত্রী নিয়ে কক্সবাজারের উদ্দেশে ছেড়ে যায়। অনুষ্ঠানে সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তা, সিভিল এভিয়েশনের কর্মকর্তাসহ জনপ্রতিনিধি, সুধীজন ও সাংবাদিকেরা উপস্থিত ছিলেন।