বুধবার, ১৪ মে ২০২৫, ০৫:৩৩ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, উপ-উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষকে অব্যাহতি মানবিক করিডোর নিয়ে অন্ধকারে রেখেছে সরকার: বিএনপি আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধে ভারতের উদ্বেগ পাকিস্তান-বাংলাদেশ সিরিজের নতুন সম্ভাব্য সময়সূচি প্রকাশ টিসিবির জন্য ১৭৭ কোটি টাকার তেল কিনবে সরকার বাংলাদেশকে নিয়ে ভূরাজনৈতিক ষড়যন্ত্র হচ্ছে: আমীর খসরু বাংলাদেশকে পূর্ব কাশ্মীরে পরিণত করতে চায় ভারত: রিজভী হত্যা মামলায় মমতাজ ৪ দিনের রিমান্ডে রমনায় বোমা হামলা মামলা : ২ জনের যাবজ্জীবন, অন্যদের ১০ বছর সাজা সারাদেশে বৃষ্টির পূর্বাভাস, বাড়তে পারে তাপমাত্রা সরকার প্রধান হিসেবে প্রথমবার নিজ জন্মভূমিতে যাচ্ছেন ড. ইউনূস জামায়াতে ইসলামীর আপিল শুনানি বুধবার পর্যন্ত মুলতবি ১৭ মে থেকে শুরু হচ্ছে পিএসএল লিবিয়ায় ভয়াবহ সংঘর্ষ, বাসিন্দাদের ঘরে থাকার নির্দেশ মার্কিন জিম্মিকে মুক্তি দিয়ে ট্রাম্পের প্রতি যে আহ্বান জানালো হামাস

গৃহহীন-ভূমিহীনদের ঘর উপহার দেওয়া সব থেকে আনন্দের দিন: সংসদে প্রধানমন্ত্রী

রিপোর্টারের নাম :
আপডেট : মার্চ ৩০, ২০২২

বৃত্তান্ত প্রতিবেদক: মুজিববর্ষ উপলক্ষে দেশের গৃহহীন ও ভূমিহীনদের ঘর উপহার দিচ্ছে সরকার। এই ঘর উপহার দেওয়াকে জীবনের সব থেকে আনন্দের দিন বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বুধবার জাতীয় সংসদে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য ফখরুল ইমামের সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের অধিবেশন শুরু হয়।

মুজিববর্ষ উপলক্ষে প্রথম ও দ্বিতীয় পর্যায়ে ১ লাখ ১৭ হাজার ৩২৯টি ঘর উপহার দেওয়া হয়েছে। তৃতীয় পর্যায়ে ৬৫ হাজার ৪৭৪টি ঘর দেওয়া হবে।

সম্পূরক প্রশ্নে ফখরুল ইমাম প্রধানমন্ত্রীকে তার আনন্দের স্মৃতি সংসদে বর্ণনা করতে অনুরোধ করেন।

স্বাধীনতার পরে ভূমিহীন ও গৃহহীনদের জন্য গুচ্ছগ্রাম তৈরির কাজ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শুরু করেছিলেন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তার স্বপ্ন ছিল দেশের কোনও মানুষ গৃহহীন, ভূমিহীন ও ঠিকানাবিহীন থাকবে না। এটা জাতির পিতার লক্ষ্য ছিল।’

জাতির পিতার লক্ষ্য পূরণ করাই একমাত্র কাজ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমার লক্ষ্য মানুষকে উন্নত জীবন দেওয়া। ১৯৯৬ সালে সরকারে আসার পর থেকে ভূমিহীন মানুষের ঘর তৈরি করে দিচ্ছি এবং পুনর্বাসন করে যাচ্ছি। আমরা শুধু ঘর দিয়ে বসে থাকছি না, ঘর দেওয়ার পরে তাদের অর্থ দিচ্ছি, প্রশিক্ষণ দিচ্ছি। আয়ের পথও করে দিচ্ছি। আমার জীবনে বোধহয় ১৫ আগস্টের পরে যে দুঃখ, কষ্ট, যাতনা ভোগ করতে হয়েছে, সেই দুঃখের মধ্য দিয়ে, বাংলাদেশে ফিরে এসেছিলাম বাবার স্বপ্ন পূরণে।’

ঘর উপহার দেওয়ার পরে নিয়মিত খোঁজ-খবর নিচ্ছেন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় এটা খুব ভালোভাবে মনিটরিং করে। কার্যালয়ে সচিব ও কর্মকর্তারা প্রায় যাচ্ছেন। তারা কেমন আছেন দেখছেন। দেখে আসার পরে যে ছবি আমাকে পাঠালেন। ঘর পাওয়ার পরে মানুষের যে অনুভূতি, একটা ঠিকানা পেয়েছে, সেই আনন্দের যে কান্না—সেই হাসি-কান্না-বেদনা উপলব্ধি করে, সেদিন আমিও… একটা মানুষ, একটা পরিবার, যারা একটা ঠিকানা পেয়েছে। ঘর পাওয়ার পরে জীবনটা যে পাল্টে গেছে। অভাব, দারিদ্র্য নেই। নিজের জীবনকে প্রতিষ্ঠিত করতে পেরেছে।’

তিনি বলেন, ‘আমার জীবনে সব থেকে বড় আনন্দের দিন। একজন মানুষ, যার কিছু ছিল না, তাকে একটা ঘর দিয়ে তার মুখে হাসি ফোটাতে পেরেছি। এর থেকে বড় আনন্দের কিছু হতে পারে না। সেদিন আনন্দে চোখের পানি রাখতে পারিনি। আমি অঝোর ধারায় কেঁদেছিলাম। কারণ, এটাই তো আমার বাবার স্বপ্ন ছিল।’

এখন অনেকের ঘরে ফ্রিজ, টেলিভিশনসহ নানান আসবাবপত্র দিয়ে সাজানো হয়েছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। বলেন, ‘একটা মানুষকে যে ঠিকানা দিতে পেরেছি, জীবনটাকে পাল্টে দিতে পারলাম, এর চেয়ে আনন্দের আর কী হতে পারে।’

দ্রব্যমূল্য নিয়ে সংসদের আলোচনা প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দ্রব্যমূল্য নিয়ে সংসদ গরম করা হলো, সেই জন্যই আমি যখন প্রশ্নগুলো (তারকা চিহ্নিত প্রশ্ন) পেলাম, এটা এক নম্বরে নিয়ে এলাম। ভাবলাম যে আজকে উত্তর দেবো।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সারা বিশ্বব্যাপী সব জিনিসের দাম বেড়েছে। তার প্রভাব আমাদের ওপর পড়েছে, এটা স্বাভাবিক। আর কিছু লোক তো আছেই, যারা সুযোগটা নেওয়ার চেষ্টা করে। সেটা যাতে নিতে না পারে, তার জন্য আমরা যথাযথ ব্যবস্থা নিয়েছি।’

তিনি বলেন, ‘কিন্তু দুঃখের বিষয় আমাদের বিরোধী দলের একজন সদস্য (বিএনপির হারুনুর রশীদ), তিনি আজকে নেই। থাকলে ভালো হতো। তিনি বললেন যে খেজুর রিকশাওয়ালারা কিনবে না। রিকশাওয়ালারা খেজুর খাবে না কেন? আমরা কিন্তু প্যাকেজে খেজুর সব জায়গায় দিচ্ছি না। কিছু ঢাকা শহরে রাখা হয়েছে, যেটা টিসিবির মাধ্যমে বিক্রি করা হয়েছে।’


এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ