রবিবার, ২৫ মে ২০২৫, ১২:৪৬ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
নির্বাচন, সংস্কার ও জুলাই গণহত্যার বিচারের একত্রিত রোডম্যাপের আহ্বান এনসিপির সংস্কার শেষ হলে ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচন চায় জামায়াত বিতর্কিত উপদেষ্টাদের বাদ ও ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের দাবি বিএনপির দেশে চলমান সংকট সমাধানের উপায় জানালেন মঈন খান বাজারে আসছে নতুন ৩ নোট, থাকছে না ব্যক্তির ছবি একনেকে ১১ হাজার ৮৫১ কোটি ২৯ লাখ টাকার ৯ প্রকল্প অনুমোদন দুই ছাত্র উপদেষ্টার সঙ্গে এনসিপির কোনো সম্পর্ক নেই: নাহিদ ইসলাম গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করতে গভীর ষড়যন্ত্র চলছে: এ্যানি ‘সরকারের কার্যক্রমকে বাধাগ্রস্ত করলে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত’ ক্লাব বিশ্বকাপে মেসি-রোনালদোকে একদলে দেখতে চান ফিফা সভাপতি টি-টোয়েন্টিতে লজ্জার রেকর্ডে সাকিবের নাম ভারতের উত্তর প্রদেশে ঝড়-বৃষ্টি-বজ্রপাতে ৫৬ জনের মৃত্যু অর্ধযুগ পর সিরিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আংশিক শিথিল যুক্তরাষ্ট্রের সন্তানকে খাবার দিতে দিশেহারা গাজার মায়েরা নির্বাচনী চাপের মুখে পদত্যাগের হুমকি দিলেন ড. ইউনূস: দ্য নিউইয়র্ক টাইমস

বিপজ্জনক দেশ মিয়ানমার, ‘নিকৃষ্ট’ সরকার জান্তা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আপডেট : ফেব্রুয়ারি ৬, ২০২৪
বিপজ্জনক দেশ মিয়ানমার, ‘নিকৃষ্ট’ সরকার জান্তা

বিশ্বের সবচেয়ে নিকৃষ্ট সরকার হিসেবে নাম উঠে এসেছে মিয়ানমারের জান্তা সরকারের। ২০২১ সালে অং সান সু চিকে সরিয়ে ক্ষমতা দখলের পর থেকে দমন-পীড়নের কারণে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সূচকের তলানিতে অবস্থান করছে তারা। সংবাদমাধ্যম ইরাবতীর এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।

২০২১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি মিয়ানমারের ক্ষমতা দখল করে জান্তা বাহিনী। অভ্যুত্থানের মাধ্যমে উৎখাত করা হয় অং সান সু চির নেতৃত্বাধীন নির্বাচিত সরকারকে।

এরপর তিন বছরে জান্তা সরকারের নির্যাতন-নিপীড়নে নিহত হয়েছে অন্তত সাড়ে ৪ হাজার বেসামরিক নাগরিক। কারাবন্দী হতে হয় ২৫ হাজার মানুষকে। দেশের বিভিন্ন অংশে অভিযান চালিয়ে প্রায় ৭৮ হাজার বাড়িঘর ধ্বংস করে জান্তা বাহিনী।

এসব কারণে বৈশ্বিক বিভিন্ন সূচকে ‘সবচেয়ে নিকৃষ্ট’ সরকারের তকমা পেয়েছে মিয়ানমারের জান্তা সরকার। গ্লোবাল পিস ইনডেক্স ২০২৩ অনুসারে, এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে সবচেয়ে বিপজ্জনক দেশগুলোর একটি মিয়ানমার। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে কারাবন্দী করা এবং সাংবাদিক নিপীড়নের দিক থেকে তাদের অবস্থান সবার শীর্ষে।

মার্কিন থিংক ট্যাংক ফ্রিডম হাউজের মতে, রাজনৈতিক অধিকার বিষয়ক সূচকে ৪০ পয়েন্টের মধ্যে মিয়ানমারের অর্জন শূন্য।

২০২১ সালের অভ্যুত্থানের পর থেকে অন্তত ১ কোটি ৮৬ লাখ মানুষ মানবেতর জীবনযাপন করছেন, যা মিয়ানমারের মোট জনসংখ্যার তিনভাগের একভাগ। জাতিসংঘ বলছে, জরুরি ভিত্তিতে তাদের ত্রাণ সহায়তা প্রয়োজন। দেশটিতে যেকোনো সময় দুর্ভিক্ষ দেখা দিতে পারে বলেও সতর্ক করেছে সংস্থাটি।

বিশ্বের অন্যতম হাঙ্গার হটস্পট বলেও ঘোষণা করা হয়েছে মিয়ানমারকে। বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি বলছে, প্রায় ১ কোটি ২৯ লাখ নাগরিক খাদ্য সংকটের মুখে রয়েছে। গৃহযুদ্ধের কারণে মাত্র ৩ বছরে বাস্তুচ্যুত ২১ লাখ মানুষ।


এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ