বৃত্তান্ত প্রতিবেদক: গত ২০১৬ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত ১০ রিক্রুটিং এজেন্সি সিন্ডিকেট করে মালয়েশিয়ার শ্রমবাজারের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে দুর্নীতি করেছে। এবার ২৫টি এজেন্সি মিলে সিন্ডিকেট করার অপচেষ্টা চলছে। মালয়েশিয়ার মানবসম্পদমন্ত্রী সারাভানান ২৫ এজেন্সির তালিকা চেয়ে সরকারের কাছে চিঠি পাঠিয়েছে।
এসব অভিযোগ করে প্রতিবাদ জানিয়ে রিক্রুটিং এজেন্সি মালিকরা বলছেন, এবার মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার নিয়ে কোনো সিন্ডিকেট দেখতে চান না তাঁরা। তারা এই সিন্ডিকেটের চেষ্টা প্রতিহত করার ঘোষণাও দিয়েছেন।
সোমবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সাধারণ রিক্রুটিং এজেন্সি মালিকদের ব্যানারে এক সংবাদ সম্মেলন করে এমন দাবি জানানো হয়।
এতে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, কর্মী নিতে মালয়েশিয়ার সব এজেন্সি যুক্ত থাকলে বাংলাদেশের ক্ষেত্রে ২৫ এজেন্সি কেন হবে। সব বৈধ এজেন্সিকে কর্মী পাঠানোর সুযোগ দিতে হবে।
লিখিত বক্তব্য বলছে, মালয়েশিয়ার প্রস্তাব অনুসারে ২৫ রিক্রুটিং এজেন্সির সাব–এজেন্ট হিসেবে ২৫০ এজেন্সি কাজ করবে। এরা মূলত দালালের ভূমিকায় থাকবে।
এটি অনৈতিক ও অবমাননাকর প্রস্তাব। একটি রিক্রুটিং এজেন্সি অন্য একটি সমমানের রিক্রুটিং এজেন্সির সাব–এজেন্ট হতে পারে না। প্রতিবেশী নেপালের ১ হাজার ৬০০–এর বেশি এজেন্সি মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠায়।
বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার মধ্যে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া যৌথ কারিগরি কমিটির সভায় সব এজেন্সির সমান সুযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করার দাবি জানান ব্যবসায়ীরা। তাঁরা বলেন, ২০১৬ সালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে কৌশলে ১০ এজেন্সি ও সাব-এজেন্ট হিসেবে ২০০ এজেন্সির তালিকা অনুমোদন করে নিয়েছিল সিন্ডিকেট সদস্যরা। এবারও একই অপচেষ্টা চলছে। যদিও মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার নিয়ে কোনো সিন্ডিকেট করা যাবে না বলে ২০১৮ সালে একটি আদেশ দিয়েছেন উচ্চ আদালত।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন রিক্রুটিং এজেন্সিজ ঐক্য পরিষদের সভাপতি টিপু সুলতান। এতে আরও বলা হয়, মধ্যপ্রাচ্যের প্রবাসী কর্মীদের কাছ থেকে তিন গুণ ভাড়া নিচ্ছে বাংলাদেশ বিমান। বেসরকারি অন্য উড়োজাহাজও একই কাজ করছে। ফ্লাইট বাড়িয়ে মধ্যপ্রাচ্যে টিকিটের যৌক্তিক দাম নির্ধারণ ও মালয়েশিয়া শ্রমবাজারের ২৫ সিন্ডিকেটের অপচেষ্টা বন্ধ করতে প্রধানমন্ত্রীর জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেন ব্যবসায়ীরা।
সংবাদ সম্মেলনে রিক্রুটিং এজেন্সিজ ঐক্য পরিষদ, বায়রা সদস্য কল্যাণ পরিষদ, সম্মিলিত সমন্বয় ফ্রন্ট বায়রা, রিক্রুটিং এজেন্সিজ ওয়েলফেয়ার অরগানাইজেশন অব বাংলাদেশ, সচেতন বায়রা গণতান্ত্রিক ফোরাম, বায়রা গণতান্ত্রিক ঐক্য ফ্রন্ট, স্বাধীনতা রিক্রুটিং এজেন্সিজ পরিষদের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।