নড়াইলের লোহাগড়ায় ইতনা ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী শেখ মনিরুজ্জামানকে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা চালিয়েছে সন্ত্রাসীরা। বৃহস্পতিবার বেলা তিনটার দিকে ইতনা গ্রামের বুড়ো ঠাকুরের গাছতলা এলাকায় সন্ত্রাসীরা তাকে কুপিয়ে ও লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে হত্যার চেষ্টা করে।
ইতনা স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষক মনিরুজ্জামান এর আগে দীর্ঘ নয় বছর ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ছিলেন। আসন্ন নির্বাচনেও প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী ১২ জন চেয়ারম্যান প্রার্থীর মধ্যে তিনি অন্যতম।নৌকার প্রার্থী শেখ সিহানুক রহমান।
মনিরুজ্জামানকে লোহাগড়ায় প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বৃহস্পতিবার রাতে গুরুতর অবস্থায় ঢাকার একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
হাসপাতালে মনিরুজ্জামানের ভাতিজা মাসুদ রানা সাংবাদিকদের জানান, ২৬ ডিসেম্বর ওই ইউপির নির্বাচন হবে। তার চাচা আওয়ামী লীগ নেতা। তবে দলীয় মনোনয়ন চাননি। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। নির্বাচনে প্রার্থিতাকে কেন্দ্র করেই এই হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে পরিবারের সদস্য ও স্থানীয়রা ধারণা করছেন।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার বেলা তিনটার দিকে মনিরুজ্জামান নিজে মোটরসাইকেল চালিয়ে ‘বুড়ো ঠাকুরের গাছতলা’এলাকা দিয়ে যাচ্ছিলেন।সেখানে পূর্ব থেকে ওৎ পেতে থাকা সন্ত্রাসীরা তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ও রড দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর জখম করে মোটর সাইকেলযোগে পালিয়ে যায়। তখন তাঁর সঙ্গে কেউ ছিলেন না।খবর পাওয়া স্থানীয়রা মাথা ও বুকে ধারালো অস্ত্রের একাধিক জখম দেখে মনিরুজ্জামানকে দ্রুত লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেন। কিন্তু তার জখম গুরুতর হওয়ায় এবং তিনি একাধিকবার বমি করায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠান।
লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক বিপাশা মোশারফ সাংবাদিকদের জানান, মনিরুজ্জামানের মাথায় লাঠির আঘাত এবং পেটে ধারালো অস্ত্রের কোপ লেগেছে। মাথার আঘাত গুরুতর। লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ আবু হেনা সাংবাদিকদের বলেন, পূর্বশত্রুতা অথবা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ওই হামলা হয়েছে। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।#