ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাসের পদত্যাগের পর দলীয় প্রধান নির্বাচনে তোড়জোড় শুরু করেছে যুক্তরাজ্যের ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টি। অন্তত ১শ’ আইনপ্রণেতার সমর্থন নিশ্চিত করে আগামী সোমবার দুপুর দুইটার মধ্যে মনোনয়ন জমা দিতে বলা হয়েছে আগ্রহী প্রার্থীদের। নির্বাচক কমিটি জানিয়েছে, ২৮শে অক্টোবর ঘোষণা করা হবে পরবর্তী প্রধানমন্ত্রীর নাম। এদিকে, দেশটির বিশ্লেষকরা বলছেন, ব্রেক্সিটের সময় থেকেই ব্রিটেনে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অস্থিরতার আশঙ্কা তৈরি হয়েছিলো। যার প্রতিফলন এখন দেখা যাচ্ছে।
অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে দায়িত্বগ্রহণের দেড় মাসের মাথায় বৃহস্পতিবার পদত্যাগ করেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাস। এর মাধ্যমে ব্রিটেনের ইতিহাসে সবচেয়ে কম সময় দায়িত্বপালন করা প্রধানমন্ত্রীর তকমাও লেগে গেলো ট্রাসের গাঁয়ে। তার আগে গত ছয় বছরে আরও তিনজন প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করেছেন। যা নিয়ে উদ্বিগ্ন যুক্তরাজ্যের রাজনীতিবিদ ও নাগরিকরা।
ব্রিটেনের রাজনৈতিক এই অস্থিরতা শুরু হয় মূলত ২০১৬ সালে ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে ব্রিটেনের সরে আসার পর থেকে। বিশ্লেষকরা বলছেন, ব্রেক্সিটবিরোধী হওয়ায় গণভোটের ফলাফলের পরদিন ডেভিড ক্যামেরন পদত্যাগ করেন। এরপর থেকে যারাই দায়িত্বে এসেছেন, তাদের স্থায়িত্ব ছিল হতাশাজনক। অল্প সময়ের ব্যবধানেই প্রধানমন্ত্রীর পদ ছাড়তে হয়েছে রাজনৈতিক টালমাটাল অবস্থায়।
ব্রিটেনের কট্টর রক্ষণশীল সংবাদপত্র টেলিগ্রাফ যা ব্রেক্সিট গণভোটকে সমর্থন করেছিল, তারাও এখন বলছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে সরে আসার পেছনে যে অর্থনৈতিক লক্ষ্য ছিলো, তা ব্যর্থ হয়েছে। বেলজিয়ামের প্রবীণ রাজনীতিবিদ ইউরোপপন্থি গাই ভারহফস্ট্যাড বলেছেন, যুক্তরাজ্যের এই বিশৃঙ্খলার শুর ২০১৬ সালে। যুক্তরাষ্ট্রের কথার সুরও একই ইঙ্গিত করছে।
এদিকে, দলীয় প্রধান নির্বাচনের তোড়জোড় শুরু করেছে ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টি। জানিয়ে দেয়া হয়েছে পরবর্তী প্রধানমন্ত্রীর নাম ঘোষণার দিনও। অন্তত ১শ’ আইনপ্রণেতার সমর্থন নিশ্চিত করে আগামী সোমবার দুপুর দুইটার মধ্যে মনোনয়ন জমা দিতে বলা হয়েছে আগ্রহী প্রার্থীদের।