রবিবার, ০৫ মে ২০২৪, ০৮:৩২ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
ইসরাইলে আল-জাজিরার সম্প্রচার বন্ধ আট দফায় কমানোর পর সোনার দাম বাড়ল সুন্দরবনে আগুন নিয়ন্ত্রণে আছে: মন্ত্রণালয়ের ব্যাখ্যা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাত বাংলাদেশ জাতীয় নারী ক্রিকেট দলের মানুষের চাহিদা অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ে কারিকুলাম প্রণয়নের আহ্বান রাষ্ট্রপতির গত বছরের তুলনায় ১৩.৯ শতাংশ বেড়েছে রাজস্ব আহরণ: অর্থমন্ত্রী ডিজিটাল থেকে স্মার্ট হওয়ার লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছে দেশ : স্পিকার শুক্রবার ক্লাস নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়নি, ‘ভুলবশত’ ফেসবুকে পোস্ট সশস্ত্র বাহিনী জনগণের আস্থা অর্জন করেছে : প্রধানমন্ত্রী উপজেলা নির্বাচন বর্জনের পক্ষে লিফলেট বিতরণ বিএনপির বিএনপির জনসমর্থন নেই, তাই নির্বাচন থেকে দূরে: হানিফ সস্ত্রীক ওমরাহ পালন করলেন বিএনপি মহাসচিব মূল্যস্ফীতি পতনের সুফল বাংলাদেশ পাচ্ছে না: সিপিডি ডলার সংকটে বিপাকে বিদেশি এয়ারলাইন্সগুলো দেশে রেকর্ড সাড়ে ২৩ লাখ টন লবণ উৎপাদন

দেশে মোবাইল সিম ব্যবহারকারী সংখ্যা ১৯ কোটি

নিজস্ব প্রতিবেদক
আপডেট : এপ্রিল ৭, ২০২৪
দেশে মোবাইল সিম ব্যবহারকারী সংখ্যা ১৯ কোটি

দেশে বর্তমানে মোবাইল অপারেটর (সিম) ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১৯ কোটি ১৩ লাখ। মোট জনসংখ্যার ৫৬ শতাংশ স্মার্টফোন ব্যবহারকারী রয়েছে। আজ (রবিবার, ৭ এপ্রিল) রাজধানীর একটি হোটেলে টেলিকম রিপোর্টারদের সংগঠন টিআরএনবি আয়োজিত ‘টেলিকম ট্যাক্সেসন ফর স্মার্ট বাংলাদেশ’ শীর্ষক গোল টেবিল বৈঠকে এ তথ্য ওঠে এসেছে।
বৈঠকে প্রধান অতিথি ছিলেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। আলোচক ছিলেন বিটিআরসি চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মহিউদ্দিন আহমেদ, বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেডের চেয়ারম্যান শাহজাহান মাহমুদ, অপারেটরদের সংগঠন অ্যামটবের নেতৃবৃন্দ ও বিভিন্ন টেলিকম প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা।

বৈঠকে টেলিকম খাতের কর ও ব্যয়ের বিপরীতে জাতীয় অর্থনীতি ও স্মার্ট বাংলাদেশে অপারেটরদের অবদান নিয়ে তথ্য তুলে ধরেন অ্যামটব মহাসচবি লে. কর্নেল মোহম্মদ জুলফিকার (অব)। তিনি জানান, বিশ্বের অষ্টম সর্বোচ্চ মোবাইল বাজার বাংলাদেশ।

বৈঠকে বলা হয়, দেশে বর্তমানে মোবাইল অপারেটর ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১৯ কোটি ১৩ লাখ। তবে মোট জনসংখ্যার অর্ধেকের বেশি মানুষ বর্তমানে স্মার্টফোন ব্যবহার করছে। যা মোট ব্যবহারকারীর ৫৬ শতাংশ। এছাড়া ৯৮ দশমিক ৫ শতাংশ ফোরজির আওতাভুক্ত।

আলোচনায় বলা হয়, মোট মোবাইল অপারেটর ব্যবহারকারীর মধ্যে মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১১ কোটি ৭৪ লাখ। এছাড়া বর্তমানে মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস (এমএফএস) ব্যবহার করছে ২১ কোটি ৯০ লাখ গ্রাহক।

মোবাইল টেলিকম অপারেটররা জানান, দেশের জাতীয় জিডিপিতে টেলিকম খাত প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ৮ শতাংশ অবদান রাখছে। নানাভাবে নিজেদের মোট আয়ের ৫১ শতাংশ পর্যন্ত ট্যাক্স দেয় মোবাইল অপারেটর কোম্পানিগুলো। সেজন্য সিম বিক্রি থেকে সম্পূর্ণ ট্যাক্স ছাড় দেওয়া উচিত বলে মনে করছে তারা।

জানা গেছে, প্রতি ১০০ টাকা আয়ের ক্ষেত্রে টেলিকম অপারেটর কোম্পানিগুলোকে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) দিতে হয় ৩৯ টাকা, বিটিআরসিকে দিতে হয় ১৫ টাকা, ইকোসিস্টেমের জন্য দিতে হয় ১৮ টাকা‌ এবং পরিচালন খরচ রয়েছে ২৬ টাকা। সেক্ষেত্রে কোম্পানিভেদে এ ব্যয় ৮৪ থেকে ১০৫ শতাংশ পর্যন্ত হয়ে থাকে বলেও দাবি করেন টেলিকম খাতের উদ্যোক্তারা।

প্রত্যক্ষ এই কর বাদ দিয়ে যদি সিম ও কর্পোরেট কর প্রত্যাহার এবং স্মার্টফোন ও ডাটা সহলভ্য করা হয় তবে জিডিপিতে অবদান রাখা সম্ভব হবে বলে মনে করে অপারেটরদের সংগঠন অ্যামটব।

তারা বলছে, সার্বিকভাবে টেলিকমে জাতীয় প্রবৃদ্ধিতে অন্তরায় ট্যাক্স, ভ্যাট, কাস্টম একইসঙ্গে তাদেরকেও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের মতো পুরোপুরি অটোমেশন করা দরকার।


এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ