বাংলাদেশে চলমান ভয়াবহ পরিস্থিতিতে পরিবর্তন আনার জন্য সরকার সেপ্টেম্বরের কথা বলেছিল। বলেছিল সেপ্টেম্বর থেকে অবস্থার উন্নতি হবে। কিন্তু সরকারের পদক্ষেপে প্রমাণ করছে আগামীতে দেশে আরও ভয়াবহ পরিস্থিতি হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি শামসুজ্জামান দুদু।
শনিবার (২৭ আগস্ট) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে জিয়াউর রহমান সমাজ কল্যাণ পরিষদের উদ্যোগে এক মানববন্ধনে তিনি এ কথা বলেন।।
এ সময় দুদু বলেন, ‘বাংলাদেশ আজ এক অসহনীয় পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। জ্বালানি তেল, বিদ্যুৎ, গ্যাস, নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য অসহনীয় পর্যায়ে। মূল্যবৃদ্ধির কারণে সাধারণ মানুষের জীবন এক কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে পড়েছে। সেই সঙ্গে মানুষের জীবনের নিরাপত্তার কোনো নিশ্চয়তা নেই। বিশেষ করে এই দেশের নারীদের অবস্থা ভয়াবহ! পরিবহন থেকে শুরু করে নিজের বাড়িতেও তারা নিরাপদ নয়। ধর্ষণ হামলা, মামলা নিত্যদিনের ঘটনায় পরিণত হয়েছে।’
দুদু বলেন, ‘সরকার যতই আশ্বস্ত করুক না কেন সরকারের পদক্ষেপগুলোতে এদেশ দিন দিন আরও খারাপ অবস্থার দিকে যাচ্ছে। এই সময়ে সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বসে জাতীয় পরিস্থিতির মূল্যায়ন করা উচিত ছিল। কিন্তু সরকার বিএনপিসহ বিরোধীদলকে দমন করার জন্য নির্যাতনের এমন কোনো পথ নেই যে ব্যবহার করেনি।
ছাত্রদলের সাবেক এই সভাপতি বলেন, বিএনপি ৭ দিনের কর্মসূচি দিয়েছিল। ঢাকাসহ প্রতিটি জেলা মহানগর উপজেলা ইউনিয়নে সমাবেশ করার। কিন্তু আমরা লক্ষ্য করছি উপজেলা এবং ইউনিয়ন পর্যায়ে সমাবেশে তারা হামলা করছেন এবং রক্ত ঝরাচ্ছেন। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ করি।
নির্যাতন করে বাংলাদেশে বেশি দিন ক্ষমতায় থাকা যাবে না। আগামী দিন বিএনপির দিন, আগামী দিন জাতীয়তাবাদের দিন, আগামীর দিন শহীদ জিয়াউর রহমানের নেতাকর্মীদের দিন বলে উল্লেখ করে সরকারকে হুঁশিয়ার করেন দুদু। তিনি বলেন, ‘এই দেশে যখনই ভয়াবহতা সৃষ্টি হয় তখনই খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমানকে দরকার পড়ে। তাদের নেতৃত্বেই অতীতে জালেম সরকারের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ সংগ্রাম গড়ে তোলা সম্ভব হয়েছিল। এর আগে খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে সামরিক স্বৈরাশাসনকে গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে বিতারিত করেছিলাম।’
দেশ থেকে যারা লাখ কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছে আওয়ামী লীগ উল্লেখ করে দুদু বলেন, ‘তাদের একদিন জবাবদিহি করতে হবে। পাচার করা টাকা বিশ্বের যে কোনো দেশে রাখেন না কেন আগামীতে যে সরকার আসবে তা ফিরিয়ে আনা হবে। এই লুটপাটের সঙ্গে যারা জড়িতদের আইনে সোপর্দ করা হবে।’
মানববন্ধনে আরও উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সভাপতি গিয়াস উদ্দিন খোকন, মৎস্যজীবী দলের সদস্য সচিব আব্দুর রহিম, জিনাফ সভাপতি মিয়া আনোয়ার, দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি কে এম রকিবুল ইসলাম রিপন, আয়োজক সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট কামাল, জনি সরকার, মোক্তার আকন্দ প্রমুখ।