শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৫:০৭ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
বিএনপি পথহারা পথিক, হাল ধরার কেউ নেই: কাদের জাতীয় পতাকার নকশাকার শিব নারায়ণ দাস মারা গেছেন কারাগার এখন বিএনপির নেতাকর্মীদের স্থায়ী ঠিকানা: রিজভী ইরানে ইসরায়েলি হামলায় লাফিয়ে বাড়ল তেলের দাম ইরানে বিমান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার ইরানে হামলার পর নাগরিকদের ইসরায়েল ছাড়তে বলল অস্ট্রেলিয়া ভারতে শুরু হয়েছে লোকসভা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ দেশের যত অপরাধ তার সবই করে বিএনপি: প্রধানমন্ত্রী ফাঁকা বাজারে লাগামহীন সবকিছু বাংলাদেশের মূল্যস্ফীতি সামলাতে কঠোর হতে হবে মুদ্রানীতি: আইএমএফ প্রধান ডেঙ্গুর মৌসুম শুরুর আগেই মৃত্যু ২৪ জনের আরও ১৩ বিজিপি সদস্যের অনুপ্রবেশ ঝড় ও শিলাবৃষ্টি হলেও তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকবে ইসরায়েলি হামলার পর আকাশ প্রতিরক্ষা সক্রিয় করল ইরান ইরানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইসরাইল

বৃহস্পতিবারের মধ্যে এসিআর জমা দিতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের নির্দেশ, নইলে বাতিল

রিপোর্টারের নাম :
আপডেট : সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২১

বৃত্তান্ত প্রতিবেদক: করোনাভাইরাস মহামারি দীর্ঘায়িত হওয়ার কারণে সরকারি বিভিন্ন দপ্তর দীর্ঘসময় বন্ধ থাকায় সরকারি কর্মচারীদের ২০২০ সালের বার্ষিক গোপনীয় অনুবেদন (এসিআর) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সংরক্ষণকারী কর্তৃপক্ষের দপ্তরে পৌঁছানোর সময়সীমা বৃহস্পতিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।

তবে বৃহস্পতিবারের মধ্যে সংরক্ষণকারী কর্তৃপক্ষের দপ্তরে এসিআর না পৌঁছালে ২০২০ সালের এসিআর বাতিল হয়ে যাবে বলে বুধবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সিনিয়র সচিব/সচিবসহ সংশ্লিষ্টদের কাছে পাঠানো এক চিঠিতে জানানো হয়েছে।

এর আগে সংরক্ষণকারী কর্তৃপক্ষের দপ্তরে এসিআর পৌঁছানোর সময়সীমা নির্ধারিত ছিল ৩০ জুন। তবে নানান কারণে কর্মকর্তা ও কর্মচারিরা এই গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন জমা দিতে পারেননি।

কোনো পঞ্জিকাবর্ষে কোন কর্মস্থলে কোন নির্দিষ্ট মেয়াদে একজন অনুবেদনকারীর (নিয়ন্ত্রণকারী ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা) অধীনে অনুবেদনাধীন (যার কাজের মূল্যায়ন) কর্মচারির কর্মকালীন সার্বিক মূল্যায়নের নাম গোপনীয় অনুবেদন।

ডোসিয়ার হচ্ছে একজন কর্মচারীর কর্মজীবনের সকল গোপনীয় অনুবেদন ও এ-সংক্রান্ত আদেশের কপি, শৃঙ্খলা সংক্রান্ত আদেশের কপি, চাকরি বিবরণী ইত্যাদি সংরক্ষণের জন্য ব্যবহৃত নথি বা ফোল্ডার কিংবা ইলেকট্রনিক পদ্ধতিতে সংরক্ষিত ফোল্ডার।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের চিঠিতে বলা হয়, করোনা মহামারির কারণে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় গত ২৩ মে গোপনীয় অনুবেদন দাখিল, অনুস্বাক্ষর ও প্রতিস্বাক্ষরকরণের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে ডোসিয়ার সংরক্ষণকারীর দপ্তরে পৌঁছানোর সময় গত ৩০ জুন বৃদ্ধি করেছিল। মহামারি দীর্ঘায়িত হওয়ায় বিরাজমান বিশেষ পরিস্থিতিতে সংশ্লিষ্ট কর্মচারিদের দাখিল, অনুস্বাক্ষর ও প্রতিস্বাক্ষরকৃত গোপনীয় অনুবেদন ডোসিয়ার সংরক্ষণকারীর দপ্তরে বিলম্বে পৌঁছেছে বা পৌঁছাচ্ছে।

এ অবস্থায় গত ৩০ জুন পর্যন্ত দাখিল, অনুস্বাক্ষর ও প্রতিস্বাক্ষরিত গোপনীয় অনুবেদন ডোসিয়ার সংরক্ষণকারীর দপ্তরে বিলম্বে পৌঁছানোর বিষয় প্রমার্জন করে আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর পাওয়া গোপনীয় অনুবেদন সঠিক হিসেবে গণ্য হবে। ৩০ সেপ্টেম্বরের পর ডোসিয়ার সংরক্ষণকারীর দপ্তরে প্রাপ্ত গোপনীয় অনুবেদন ‘গোপনীয় অনুবেদন অনুশাসনমালা-২০২০’ এর ৩.৪.৫ নং অনুচ্ছেদ অনুযায়ী নিষ্পত্তি করতে হবে।

বিষয়টি কেবল ২০২০ সনের সংশ্লিষ্ট সকলের এসিআরের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

‘গোপনীয় অনুবেদন অনুশাসনমালা-২০২০’ এর ৩.৪.৫ নং অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, সরকার কর্তৃক অন্যকোন নির্দেশনা না থাকলে কোন বছরের গোপনীয় অনুবেদন পরবর্তী বছরের এপ্রিল মাসের পরে ডোসিয়ার সংরক্ষণকারী কর্তৃপক্ষের দপ্তরে পাওয়া গেলে তা সরাসরি বাতিল বলে গণ্য হবে।

এক্ষেত্রে অনুবেদনাধীন কর্মচারী যথানিয়মে সিআর দাখিল করলে এবং প্রমাণক যাচাই শেষে তার কোনো ত্রুটি না থাকলে তাকে অব্যাহতি দিয়ে তার পূর্ববর্তী তিন বছরের প্রাপ্ত সিআরের গড় নম্বর দেয়া হবে। তবে পূর্ববর্তী সিআরের সংখ্যা তিন বছরের কম হলে প্রাপ্ত সিআরের ভিত্তিতে গড় নম্বর দেওয়া হবে। তবে আগের কোনো সিআর না থাকলে (জমা দেওয়ার পর হারিয়ে গেলে) ৯৪ নম্বর দিতে হবে বলে অনুশাসনমালায় উল্লেখ করা হয়েছে।


এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ