রবিবার, ২৫ মে ২০২৫, ০২:৩৮ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
নির্বাচন, সংস্কার ও জুলাই গণহত্যার বিচারের একত্রিত রোডম্যাপের আহ্বান এনসিপির সংস্কার শেষ হলে ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচন চায় জামায়াত বিতর্কিত উপদেষ্টাদের বাদ ও ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের দাবি বিএনপির দেশে চলমান সংকট সমাধানের উপায় জানালেন মঈন খান বাজারে আসছে নতুন ৩ নোট, থাকছে না ব্যক্তির ছবি একনেকে ১১ হাজার ৮৫১ কোটি ২৯ লাখ টাকার ৯ প্রকল্প অনুমোদন দুই ছাত্র উপদেষ্টার সঙ্গে এনসিপির কোনো সম্পর্ক নেই: নাহিদ ইসলাম গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করতে গভীর ষড়যন্ত্র চলছে: এ্যানি ‘সরকারের কার্যক্রমকে বাধাগ্রস্ত করলে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত’ ক্লাব বিশ্বকাপে মেসি-রোনালদোকে একদলে দেখতে চান ফিফা সভাপতি টি-টোয়েন্টিতে লজ্জার রেকর্ডে সাকিবের নাম ভারতের উত্তর প্রদেশে ঝড়-বৃষ্টি-বজ্রপাতে ৫৬ জনের মৃত্যু অর্ধযুগ পর সিরিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আংশিক শিথিল যুক্তরাষ্ট্রের সন্তানকে খাবার দিতে দিশেহারা গাজার মায়েরা নির্বাচনী চাপের মুখে পদত্যাগের হুমকি দিলেন ড. ইউনূস: দ্য নিউইয়র্ক টাইমস

আত্মসমর্পণ না করে দেশ ছাড়লেন হাজি সেলিম

রিপোর্টারের নাম :
আপডেট : মে ২, ২০২২

দুর্নীতির মামলায় ১০ বছরের দণ্ড নিয়ে দেশ ছেড়েছেন আওয়ামী লীগের সাংসদ হাজি সেলিম। গত শনিবার বিকেলে কঠোর গোপনীয়তার মধ্য দিয়ে তিনি হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়ে থাইল্যান্ডের ব্যাংকক যান।

হাজি সেলিমের ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র আজ সোমবার এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। হাজি সেলিমের ঘনিষ্ঠ ওই সূত্র বলছে, শনিবার তিনটি গাড়ির একটি বহর নিয়ে আজিমপুর কবরস্থানে যান হাজি সেলিম। সেখানে কবর জিয়ারত করে বিমানবন্দরে যান।

তবে এ সময় তার সঙ্গে পরিবারের কেউ ছিলেন না। গাড়ির চালকেরাও আগে থেকে জানতেন না তারা কোথায় যাচ্ছেন। হাজি সেলিম সব সময় যে গাড়ি ব্যবহার করেন, ওই দিন সে গাড়িতে যাননি। চালকও ছিলেন আরেকজন।

সূত্রটি আরও জানায়, হাজি সেলিমের সফরসঙ্গী হিসেবে ঘনিষ্ঠ কেউ যাননি। তিনি যাওয়ার আগে বা পরে ঘনিষ্ঠ কেউ ব্যাংকক গিয়ে থাকতে পারেন। চিকিৎসার কথা বলে তিনি ব্যাংকক গিয়েছেন।

এ বিষয়ে বক্তব্যের জন্য হাজি সেলিমের বড় ছেলে সোলাইমান সেলিমের মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করে তাকে পাওয়া যায়নি। ফোন করা হলে সেটি অন্য একজন রিসিভ করেন এবং তিনি কিছু জানেন না বলে দাবি করেন।

তবে সোলাইমান সেলিম গতকাল রবিবার এক টেলিভিশনের প্রশ্নের জবাবে বলেছেন, তার বাবা এখন দেশে নেই। এ বিষয়ে জানতে হাজি সেলিমের ব্যক্তিগত সহকারী মহিউদ্দিন বেলালের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি।

জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের দায়ে হাজি সেলিমের ১০ বছর সাজা বহাল রেখে হাইকোর্টের দেওয়া পূর্ণাঙ্গ রায় গত ১০ ফেব্রুয়ারি প্রকাশিত হয়। রায়ের অনুলিপি পাওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে হাজি সেলিমকে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৭-এ আত্মসমর্পণ করতে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। এই সময়সীমার মধ্যেই আওয়ামী লীগের এই সাংসদ দেশ ছেড়েছেন।

দুর্নীতির মামলায় এক যুগ আগে বিচারিক আদালতের রায়ে সাংসদ হাজি সেলিমের ১৩ বছরের কারাদণ্ড হয়েছিল। সাজার রায়ের বিরুদ্ধে হাজি সেলিম হাইকোর্টে আপিল করেন।

এই আপিলের শুনানি নিয়ে গত বছরের ৯ মার্চ বিচারপতি মো. মঈনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হকের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চ্যুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ রায় ঘোষণা করেন। এরপর ১০ ফেব্রুয়ারি পূর্ণাঙ্গ রায়টি প্রকাশ করা হয়।

এ অবস্থায় হাজি সেলিমকে দেশত্যাগে সহায়তাকারীরা অপরাধ করেছেন বলে মনে করছেন আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী (মানিক)।

তিনি বলেন, সর্বোচ্চ আদালত তাকে নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করার আদেশ দিয়েছেন। সে অবস্থায় সেই ব্যক্তি কোনোভাবেই দেশত্যাগ করতে পারেন না। যারা তাকে দেশত্যাগ করতে সাহায্য করেছেন, তারা মস্ত বড় অপরাধ করেছেন। তারা সর্বোচ্চ আদালতের আদেশ অমান্য করেছেন। এখন তিনি দেশে ফিরে না এলে তখন কী হবে? সাজাপ্রাপ্ত হওয়ায় তার দেশে ফেরার সম্ভাবনাও কম।’


এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ