বৈশাখের কালো মেঘের সঙ্গে সূর্যের লুকোচুরির মতো রাজধানীর বাজার পরিস্থিতি। এক পণ্যের দাম কমে তো, অন্য পণ্যের দাম বাড়ে। তবে ঈদের আগে উত্তাপ ছড়াচ্ছে মুরগির বাজার।
রোজার শুরুতে অস্বাভাবিকভাবে বাড়া বেগুনের দাম কিছুটা কমেছে। ব্যবসায়ীরা বেগুনের কেজি বিক্রি করছেন ৫০ থেকে ৭০ টাকা। যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ৮০ থেকে ১০০ টাকা।
শুক্রবার (২২ এপ্রিল) শুধু বেগুনই নয়, দাম কমেছে শসার। রোজার শুরুতে ৮০ টাকা কেজিতে বিক্রি হওয়া শসা এখন বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকায়। তবে অন্যান্য সবজির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। পটলের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা, বরবটি ৬০ থেকে ৭০ টাকা, ঢেঁড়স ৫০ থেকে ৬০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। লাউয়ের পিস বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা। লাল ও পালং শাকের আঁটি বিক্রি হচ্ছে ১০ থেকে ১৫ টাকায়। সজনে ডাটা ৬০ থেকে ৮০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। পাকা টমেটোর কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা। পেঁপের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা। কাঁচ কলার হালি বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা। করলার কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৮০ টাকা।
মাছ বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সপ্তাহের ব্যবধানে মাছের দামে তেমন পরিবর্তন আসেনি। রুইয়ের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৪৫০ টাকা। এক কেজি ওজনের ইলিশ মাছ বিক্রি হচ্ছে ১৩০০ থেকে ১৬০০ টাকা। তেলাপিয়া, পাঙ্গাস মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ১৭০ টাকা। শিং মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৪৬০ টাকা। শোল মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা।
মাছের মতো অপরিবর্তিত রয়েছে মুরগি ও গরুর মাংসের দাম। ব্যবসায়ীরা আগের মতো ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি করছেন ১৭০ থেকে ১৭৫ টাকা। সোনালী মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৩২০ টাকা। আর গরুর মাংস গত সপ্তাহের মতো ৬৮০ থেকে ৭০০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে চালের বাজার রয়েছে স্বাভাবিক। তবে আসন্ন ঈদ ঘিরে তেলের বাজার অস্থিতিশীল হওয়ার শঙ্কা ব্যবসায়ীদের। সবজির পাশাপাশি কিছুটা স্বস্তি আদা-রসুনে। তবে দাম বেড়েছে পেঁয়াজের।
এসবের মধ্যে চলছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সচেতনতা কার্যক্রম। দামের এই ওঠা-নামায় দিশেহারা ক্রেতাদের স্বস্তি দিতে বাজারে সচেতনতা কার্যক্রম চালছে ভোক্তা অধিকার।