নীলফামারী প্রতিনিধি: মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, স্বাধীন বাংলাদেশে স্বাধীনতাবিরোধীদের নামে কোন প্রতিষ্ঠান থাকা জাতির জন্য কলঙ্কজনক। তাদের নামে কোন প্রতিষ্ঠানের নাম থাকতে পারে না। এ ধরনের প্রতিষ্ঠানের নাম বদলে ফেলতে হবে।
মঙ্গলবার নীলফামারী সদর ও সৈয়দপুর উপজেলার নবনির্মিত মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স উদ্বোধন শেষে এক মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি একথা বলেন।
নীলফামারীতে আয়োজিত অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বীর মুক্তিযোদ্ধাদের যথাযথ মর্যাদা এবং সুযোগ -সুবিধা বৃদ্ধির জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। অসচ্ছল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য ৩০ হাজার বীরনিবাস নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে। বীর মুক্তিযোদ্ধাদের বিনামূল্যে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এজন্য ইতোমধ্যে বিভিন্ন বিশেষায়িত হাসপাতাল এবং জেলা-উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া গত ৭ বছরে মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানী ভাতা ৩ হাজার টাকা হতে ২০ হাজার টাকায় উন্নীত করা হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
সারাদেশে সকল বধ্যভূমি সংরক্ষণ এবং সব বীর মুক্তিযোদ্ধার কবর একই ডিজাইনে করার কাজও চলমান রয়েছে বলে তিনি জানান।
তিনি আরো বলেন, বর্তমান বাংলাদেশের উন্নয়নের সকল ভিত বঙ্গবন্ধু গড়ে গেছেন। আর শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর পরিকল্পনাগুলো বাস্তবায়ন করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন।
মন্ত্রী এ সময় বর্তমান সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকান্ড তুলে ধরেন এবং নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে নিজেদের যোগ্য করে গড়ে তুলতে আহ্বান জানান।
নীলফামারীর জেলা প্রশাসক হাফিজুর রহমান চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে নীলফামারী-২ আসনের সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান নূর, সংরক্ষিত সংসদ সদস্য রাবেয়া আলীম, নীলফামারী জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা জয়নাল আবেদীনসহ উপজেলার বীর মুক্তিযোদ্ধাবৃন্দ এবং স্থানীয় আওয়ামীলীগের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া ভার্চুয়ালভাবে সৈয়দপুর উপজেলার বীর মুক্তিযোদ্ধা নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
পরে মন্ত্রী দিনাজপুর জেলার খানসামা উপজেলা হতে খানসামা ও নবাবগঞ্জ উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনের উদ্বোধন করেন।
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় প্রতিটি প্রায় ২.২০ কোটি টাকা ব্যয়ে এসকল কমপ্লেক্স নির্মাণ করা হয়।